শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি : অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবল দলের আলোচিত খেলোয়ার মোসা: সাগরিকা তার গ্রামের বাড়ী ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার রাঙ্গাটুঙ্গিতে গত মঙ্গলবার এসে পৌঁছেছেন।
মোসাম্মৎ সাগরিকা বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ ছুটে আসছেন তাকে এক নজর দেখতে। বিচ্ছিন্নভাবে মানুষ আসায় তাদের বাড়ীতে প্রায় সময় মানুষের জটলা বেঁধে থাকছে।
গত বুধবার সরেজমিনে সাগরিকার গ্রামের বাড়ীতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা মিলে। সাগরিকার বাবা লিটন আলী বলেন, মঙ্গলবার সকালে ট্রেনযোগে সাগরিকা বাড়ীতে এসেছেন। আসার পর তাকে ইউএনও অফিসে নেওয়া হলে সেখানে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। পরে রাঙ্গাটুঙ্গি মাঠে মঙ্গলবার বিকেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় সুধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।
সাগরিকা বাড়ীতে আসার পর পরেই স্থানীয়রা বাড়ীতে জড়ো হয়ে পড়ে তাকে দেখার জন্য। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার তারই ধারবাহিকতায় স্থানীয় সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রতিবেশীসহ দুরদুরান্ত থেকে তাকে দেখার জন্য মানুষজন এসেছেন।
এসে সবাই তার খেলার প্রশংসা করছেন। ভবিষ্যতে যেন সে আরো ভালো খেলে সে পরামর্শ দিচ্ছেন। সাগরিকার বাড়ীতে কথা হয় প্রতিবেশী আশরাফুল আলম, বালিয়াডাঙ্গী থেকে আসা আল মামুনসহ কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, এক অজো পাড়ার গরিব পরিবারের একটি মেয়ের খেলা টিভির পর্দায় দেখেছি। শুনেছি সে বাড়ী এসেছে তাই সরাসরি এক পলক দেখার জন্য তার বাড়ীতে ছুটে এসেছি।
তারা বলেন, সাগিরকার সাথে তারা কথা বলেছেন ভালো পরার্মশও দিয়েছেন। সাগিরকাও তাদের সাথে খুব ভালো আচরন করেছেন। এ প্রতিবেদক কথা বলেন মোসাম্মৎ সাগরিকার সাথে তিনি জানান,বাসায় আসার জন্য মনটা খুব ছটপট করছিলো। তাই অনেক অনুরোধ করে তিনদিনের ছুটি নিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীর সাথে দেখা করার জন্য এসেছেন। ছুটি শেষে আবারো ঢাকায় ফিরবেন। সাগরিকার কাছে তার সামনের স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সে জানান, তিনি আরো ভালো খেলতে চান। গরিব বাবা মায়ের সংসারে একটু স্বচ্ছলতা ফিরাতে চান। তার পরিবার যেন নিজের কেনা জমিতে বাড়ী করতে পারেন সে সহায়তা তার বাবামা’কে করতে চান।
এ জন্য তিনি খেলায় বেশ মনোযোগ দিয়েছেন। অন্য কোন চিন্তা মাথায় নিচ্ছেন না। এছাড়া তিনি তার হাতেখড়ি রাঙ্গাটুঙ্গি খেলার মাঠের উন্নয়ন কামনা করেন। সরকারী সহায়তায় যেন এই অজোপাড়া গায়ের মেয়েরা ভালো খেলোয়ার হতে পারেন এ আহ্বান জানান সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট। রাঙ্গাটুঙ্গি ইউনাইটেড মহিলা ফুটবল একাডেমির পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম বলেন, সাগরিকা বাড়ীতে আসার পরে অনেকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকে তাকে দেখার জন্য তার বাড়ীতে ছুটে গেছেন। উপজেলা প্রশাসন তাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। তাকে রাণীশংকৈলবাসী বেশ সমাদর করেছেন। সে খুব শিগগির আবার ঢাকায় ফিরবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।